মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে খাদে পড়েছে এক যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনার বিষয়ে বর্ণনা দিচ্ছিলেন বাসের যাত্রী আনোয়ারা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, ‘চালকের বাম পাশের আসনে বসেছিলাম আমি, আর কোলে ছিল আমার ছেলে সাজ্জাদ।’
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন। তবে বাসে থাকা প্রায় সব যাত্রী আহত হন। এ দুর্ঘটনায় অক্ষত রয়েছেন আনোয়ারা বেগম (২৮) ও তার শিশু ছেলে সাজ্জাদ (৭)।
জানা গেছে, বাগেরহাট থেকে রোববার ভোরে আনোয়ারা তার ছেলেকে নিয়ে ইমাদ পরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য।
আনোয়ারা ও তার ছেলে সাজ্জাদকে উদ্ধার করা মাহাবুব আলম জানান, ‘রোববার সকালে আমরা বাস থেকে প্রথমে মরদেহ বের করছিলাম। এরপর দেখি মরদেহের নিচে পড়ে থাকা আনোয়ারা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। পরে মা ও সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।’
আনোয়ারা বেগম বলেন,‘হঠাৎ বাসের বাম পাশের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এরপর গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমার আর ছেলের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি।’
আনোয়ারার স্বামী শহিদুল মোল্লা জানান, ‘আমার সন্তান ও স্ত্রীকে নতুন করে আবার ফিরে পেয়েছি। বিধাতা আমাকে এতো বড় উপহার দিবে কখনো বুঝতে পারিনি।’
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক জানান, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ জন। হতাহত বহু রয়েছে।